রোদ ভাসে, মেঘ ভাসে, কয়েকটা
চাঁদ ভাসে, গভীর তমিস্রা ভাসে,
শঙ্খধ্বনি সন্ধ্যা ভাসে ,শব্দ, চিহ্ন
বাক্য ভেসে যায় ।
তুমি যে বসেছ এসে শিয়রে তাহার
তাই বুঝি জন্ম জন্মান্তর
ভেলাটুকু গাঙুরের জলে ভেসে যায়।
তবুও
নিভে যাবে জেনেই আলো জ্বলে ওঠে।
বেলা মরে যাবে জেনে জানলায় দোল খায়
হলদে পর্দা।রোদ মাখে গায়।
উদ্যত কুঠার জেনে তাও, বেগুনি ফুলটির লোভে
অচিন আগাছা জন্মায়।
গন্ধ
বাতাসে সন্ধ্যার গন্ধ পাখির পালকে মিশে
ঘরে ফেরার গন্ধ হয়ে যায়।
আলোকবর্ষ দূরে তারাটির মিহি গন্ধ
ঝুপসি অন্ধকার গায়ে মেখে নেয়।
মধ্যরাতে রক্তজবার গন্ধ
যে মানুষ আক্রান্ত সেই শুধু পায়।
ছবি গুগ্ল থেকে সংগৃহীত
গন্ধের রকমফের,বর্ণের বিচিত্রতা আর চরাচরের ভেসে যাওয়ার অপূর্ব দৃশ্যকাব্য এই কবিতা তিনটি। বাতাসে সন্ধ্যার গন্ধ কখন যেন পাখির পালকে মিশে ঘরে ফেরার গন্ধে রূপান্তরিত হয়। তারার মিহিগন্ধ, ঝুপড়ির অন্ধকারমাখা গন্ধ সবই ক্রমশঃ প্রতীকী হয়ে উঠতে উঠতে শেষমেশ মধ্যরাতের রক্তজবার গন্ধ মিশে যেন পাঠকের হৃদয় এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয়। শব্দ নিয়ে তাঁর এই প্রতীকী গন্ধের বিস্তার বড় চমত্কার!
ReplyDelete'উদ্যত কুঠার জেনে তাও, বেগুনি ফুলটির লোভে/ অচিন আগাছা জন্মায়।'ধ্বংসের
কুঠার, বেগুনি রঙের ফুল আর অচিন আগাছার এই আস্বাভাবিক ও দূরপনেয় যোগকে কবি আশ্চর্য এক চিত্রময়তা দিয়ে গেঁথে তৈরি করেছেন বিনিসুতোর এক অলীক কাব্য। এভাবেই তিনি তাঁর শব্দ,চিহ্ন-বাক্যের ভেলাটিকেও ভাসিয়ে দিয়েছেন কবিতার অনন্তস্রোতে ,জন্মান্তরের আশাময়ী গাঙুরের জলে। এই কবির আরও কবিতা পড়তে ইচ্ছে হয়!