বিকেলের ক্ষয়
মেঘের দিকে দেখি উড়ে যায়
দিকভ্রান্ত পাখি-
বৃষ্টি নামে
নিরালায় ভিজে যায়
ইচ্ছের বীজ
জলধারা নিয়ে যায়
রাগি
পাথরের ছাই
অকারণ চোখ ভিজে যায়
বৃষ্টি দেখে
ভেজা
দুই চোখ
এই দেখা ভেসে যেতে
চায়
জলের ধারায়।
টবের গাছের দিকে দেখি-
নরম হাসির ঝিলিক ফুল হয়ে ফোটে
মনে পড়ে
সেই এক দিন...
বৃষ্টি থেমে যায়।
পুরো বিকেলের আলো মুছে নিয়ে
পাখি দেখি নেমে আসে নীচে
পায়ে তার মেঘের কণিকা
ঠোঁটে তার চাঁদের আভাষ
ঈষৎ খোলা দুই ডানা
বাসা নেই তার
নেই ঘরও-
আর নেই প্রিয় পাখির পালক শরীর
শরীরের উষ্ণ অভিসারে
জমে নেই কানাকড়ি ঋণ ?
এ বড় বিস্ময়
সন্ধ্যার অন্ধকার গিলে খায়
একাকী
পাখির শরীর হয় ক্ষয়
কালো অন্ধকার এগোয়
ক্রমশ
আমরা
শুধু অন্ধকার দেখি... দেখি কালো বাতাসেরা ঢুকে পড়ে সব চোখে-মুখে-বুকে...
কালো চুল অকারণ সাদা হয়ে যায়...
সাদা দাঁত হয় কালো... সব রং কালো মনে হয়... জরাজীর্ণ হয় মুঠোর আকার... পায়ের কাছেই
বসে পড়ে গোটা গোটা মানুষের স্তূপ... কালো অনাহার কালো থালায় পরিবেশিত হয়... বন্টন
সম হারে... সূর্যের প্রখর আলো এই কালোর কাছে প্রতিহত হয়ে ফিরে যায় আকাশে... ঘণঘোর
কালো আলো ঢেকে দেয় আকাশের নীল... হায় হায় আকাশেও শান্তির জল অবশিষ্ট নেই আর...
কালো জাতির উদ্দেশ্যে কালো আগুন ঢেলে দেন যমরাজ স্বয়ং... উপুড় পাত্র গরম হয়ে গলে যায়...
পড়ে যায় উপুড় হয়ে... কালো অন্ধকার মানুষ অন্ধকারে পড়ে থাকে... দেখার অভ্যাসে সে
দেখে কালো জল কালো রক্ত ছুঁয়ে কালিন্দির বুকে দেয় ঝাঁপ... বাঁকা কালো জল ভেসে যায়
সাত কালো সমুদ্রের দিকে... গোল আবর্তন ও পরিক্রমণশীল পৃথিবীর একটাই দিক আজ...
অতীতের সাদা চুল কালো হয়ে যায় কালের নিয়মে... অজীর্ণ তো কিছু নেই এই কালো গ্রহে...
দূরের
জোনাকি আলো রং নিয়ে যদি বড় হয়... তবে দেখা যাবে সাদা হাড় পড়ে আছে সাদা করোটির
কাছে...
No comments:
Post a Comment