-->

গদ্যঃ বিভাস সাহা




গ্রেট ব্রিটেন : প্রস্তুতির অভাব ও ঔদ্ধত্যের মাশুল

৯ই মে এবছর রবীন্দ্রজয়ন্তী পড়েছিল। ৯ই মে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের ৭৫তম বার্ষিকীও। ১৯৪৫ সালে এইদিন মিত্রশক্তি (সোভিয়েত ইউনিয়ন, গ্রেট ব্রিটেন ও আমেরিকা) নাৎসি জার্মানির হাত থেকে ইউরোপের মুক্তি ও যুদ্ধজয় ঘোষণা করে। রবীন্দ্রনাথ এই দিনটি দেখে যেতে পারেন নি। জাতীয়তাবাদ ও আধিপত্যবাদের মাদকতায় উন্মত্ত ইউরোপীয় দেশগুলি গোটা পৃথিবী জুড়ে এক আত্মধ্বংসী খেলায় মেতে উঠেছিল। এই খেলা যখন শেষ হয়, ততদিনে ৮ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মারা গিয়েছিল ২ কোটি, আর ১৯১৮র স্প্যানিশ ফ্লুতে মারা গিয়েছিল সম্ভবত ৫ কোটি মানুষ।

এই মুহূর্তে আর একটা বিশ্বযুদ্ধ চলছে, তবে অদৃশ্য এক শত্রুর সঙ্গে। গত চারমাসে মারা গেছে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষ। এই মৃতদের শতকরা নব্বই ভাগ ইউরোপ ও আমেরিকার অধিবাসী এবং বেশির ভাগই ৭৫ বছরের অধিক বয়সী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ অবসানের স্মৃতি এদের কাছে উজ্জ্বল। ইউরোপে আজ যাদের বয়স আশির উপরে তাদের পরিশ্রম ও শৃংখলার জোরেই পশ্চিম দুনিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ থেকে উঠে দাঁড়ায়। অথচ আজ এই বয়ঃগোষ্ঠীই সর্বাংশে ক্ষতিগ্রস্ত। তার খানিকটা কারণ করোনা ভাইরাসের পক্ষপাতিত্ব, বাকিটা সরকারের অপদার্থতা এবং তরুণ ও প্রৌঢ় প্রজন্মের অকৃতজ্ঞতা।  

আশি বছরের ঊর্ধ্বের মানুষদের একটা বড়ো অংশ কেয়ার হোমে (বা ওল্ড হোমে) থাকেন। এই অংশ মূল সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন, এবং বিস্মৃত। অনেকেই বয়সজনিত সমস্যায় জর্জরিত, যদিও চিকিৎসার গুণে এদের নব্বই-এর ঘরে পৌঁছে যাবার কথা। এদের মধ্যে মৃত্যুর মহড়া চলছে। এদের মধ্যে কোন রহস্যময় কারণে করোনা টেস্টিং ও চিকিৎসার ব্যবস্থা হয় নি। এদের মৃত্যুর হিসাবও অস্পষ্ট। ব্রিটেনে মনে করা হচ্ছে কেয়ার হোমের মৃত্যু মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশ। ইতালি ও স্পেনেও এই কেয়ার হোমে মৃত্যুর সংখ্যা ভয়ংকর।
২১শে এপ্রিল ফিনান্সিয়াল টাইমস পত্রিকা লিখেছিল ব্রিটেনের কেয়ার হোমে কোভিড মৃত্যুর সংখ্যা তখন আনুমানিক কুড়ি হাজার। ঐ একই সময় হাসপাতাল মৃত্যুর সংখ্যা ছিল একুশ হাজার, সেটাই সরকার ঘোষিত একমাত্র হিসাব। ৯ই মে ব্রিটেনে করোনায় মৃত  ৩১,২৪১, আক্রান্ত ২ লক্ষ ১১ হাজারের অধিক। ব্রিটেন মৃত্যুর খাতে ইউরোপে সর্বোচ্চ স্থান নিয়েছে এবং বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান, বড়োভাই আমেরিকার ঠিক পরেই। অথচ এক মাস আগে (১০ই এপ্রিল) মৃতের সংখ্যা ছিল ৭,৯৭৮, আক্রান্ত ৬৫,০৭৭। আর ছয় সপ্তাহ আগে ২৩শে মার্চ যেদিন লকডাউন ঘোষণা করা হয় সেদিন মৃতের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৮১ এবং আক্রান্ত ৫,৬৮৩। এখন মৃত্যুর হার যেখানে ১৫ শতাংশ, ছয় সপ্তাহ আগে তা ছিল মাত্র ৫ শতাংশ। আরো তিন মাস এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেলে দেখা যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য। ব্রিটেনের প্রথম কোভিড-১৯ কেস হয় ৩১শে জানুয়ারী।

বয়সের হিসাবে মূলতঃ বৃদ্ধেরা ( যাদের মধ্যে প্রায় সকলেই শ্বেতাঙ্গ এবং বংশ পলম্পরায় বৃটিশ ) সবচেয়ে বেশি বিধ্বস্ত। আবার আয় বা পেশার হিসাবে বহিরাগত (বেশির ভাগই এশিয় অথবা কৃষ্ণাঙ্গ) এবং রোজগার কম এমন কমবয়সীরা করোনার বড়ো শিকার, যেমন ভারত থেকে আসা রাজেশ। 
লন্ডনের উবার (Uber) ড্রাইভার রাজেশ জয়াসীলান চেয়েছিল আর একটু টাকা জমলে স্থায়ীভাবে দেশে ফিরে যাবে। বেঙ্গালুরুতে দুই সন্তান, স্ত্রী ও মাকে নিয়ে তার দূরবর্তী সংসার। বাইশ বছর নানা চেষ্টার পরেও সে এদেশে আর্থিক স্বচ্ছলতার মুখ দেখে নি। লকডাউনের ফলে হঠাৎ রোজগার বন্ধ, অথচ দেশে ফেরার উপায়ও নেই। শেষ অবধি কোভিড-১৯ তাকে আক্রমণ করলো। চিকিৎসকদের আন্তরিক চেষ্টা সব ব্যর্থ হলো । রাজেশ হয়ত বেঁচে যেত যদি না তার বাড়িওয়ালা, যার সঙ্গে সে ‘লজার’ হিসেবে থাকত, নিছক সংক্রমণের ভয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেত। অসুস্থ অবস্থায় রাজেশ এপ্রিলের কয়েকটি শীতল রাত তার গাড়িতে কাটাতে বাধ্য হয়, সম্ভবত সেই কারণেই নিউমোনিয়া ও মৃত্যু। পৃথিবীতে সব দেশেই অস্বচ্ছল মানুষের প্রতিদিনের যুদ্ধ লড়াই করে একটা গড় আয়ুর জীবন বেঁচে থাকাই আশ্চর্যের, কত দিক থেকে যে তীর ছুটে আসে! রাজেশের মৃত্যুই তার প্রমাণ। আর বাড়িওয়ালার অমানবিকতা ? তার জন্যে বোধহয় কোন আইনই যথেষ্ট নয়।

কিন্তু রাজেশ একা নয়। এমন অকাল মৃত্যু ঘটেছে ফিলিপাইনস থেকে আগত স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, সুদান, সোমালিয়া ও নাইজিরিয়া থেকে আগত ডাক্তারদের মধ্যেও।

প্রশ্ন হচ্ছে কেন এমন হলো ? ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন, জার্মানি ও ফ্রান্স ফেব্রুয়ারী মাসের গোড়ায় একই অবস্থায় থাকলেও, ইতালি শীঘ্রই সবাইকে ছেড়ে দৌড়াতে থাকে এবং ৮ই মার্চ লকডাউনে যেতে বাধ্য হয়। স্পেন লকডাউনে যায় ১৪ই মার্চ। তার এক সপ্তাহ বাদে জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন। লকডাউনের ছদিন আগে ১৭ই মার্চ ব্রিটিশ সরকারের মুখ্য বিজ্ঞান উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালেন্স বলেছিলেন যে মৃতের সংখ্যা ২০,০০০ এর নীচে রাখতে পারলে ভালো ব্যাপার হবে। এর প্রেক্ষিতে বলতেই হয় সরকার করোনা পরীক্ষায় ডাহা ফেল।

মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে যখন প্রথমে ইতালি এবং তারপর স্পেন উদ্বেগের ঢেউ ছড়াতে শুরু করেছে, যখন ব্রিটেনে সাধারণ মানুষ ও মিডিয়া প্রশ্ন তুলছে সামাজিক দূরত্ব কবে শুরু হবে, এয়ারপোর্টে চেকিং হবে কিনা ইত্যাদি, তখন সরকারের অনড় বক্তব্য ছিল, “আমরা বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করে দেখেছি সামাজিক দূরত্বের ফলে মৃত্যুর হেরফের বিশেষ হবে না । বরং যত বেশি মানুষ আক্রান্ত হবে, তত বেশি জনগোষ্ঠীর প্রতিরক্ষা (herd immunity) তৈরী হবে । শুধু ঝুঁকি রয়েছে অত্যন্ত বৃদ্ধদের নিয়ে, কিন্তু তা মোকাবিলা করার জন্যে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS) রয়েছে এবং সরকার যে কোন অবস্থার জন্যে সবরকম প্রস্তুত।“

এই ঘোষণার মধ্যে ছিল একরকম ঔদ্ধত্য এবং বিপজ্জনক আত্মবিশ্বাস। ব্রিটিশ মিডিয়া তাদের স্বভাববশতঃ সরকারকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করলো না। কিন্তু গুঞ্জন চলতে থাকল, কারা এই বিজ্ঞানী যারা সরকারকে এমন বিচিত্র এবং মারাত্মক ঝুঁকির পরামর্শ দিচ্ছে ? তাদের গবেষণার ভিত্তি কী? অনেক চাপাচাপির পর উত্তর পাওয়া গেল ভাসা ভাসা, কিছু নাম জানা গেলেও জানা যাবে না কমিটিতে আর কারা আছেন বা কী আলোচনা হয়েছে সেখানে। শেষমেষ অবশ্য বিজ্ঞান নির্ভরতার ধোঁয়াটে যুক্তি টেমসের জলে ফেলে দিয়ে সরকার ১৬ই্য মার্চ সামাজিক দূরত্বের কথা এবং ২৩শে মার্চ লকডাউন ঘোষণা করে । অনেকেই মনে করে সরকার দুই সপ্তাহ দেরী করেছে লকডাউন ঘোষণা করতে।


একদিকে যখন সরকারের ব্যবস্থা ব্যর্থ হচ্ছে অন্যদিকে তখন চলছে নজীরবিহীন গোপনীয়তা। গোপনীয়তা প্রস্তুতি নিয়ে, স্ট্র্যাটেজি নিয়ে, তথ্য নিয়ে,  এবং সর্বোপরি সিদ্ধান্ত পদ্ধতি নিয়ে। এমনিতেই অস্বচ্ছতা ব্রিটিশ চরিত্রের একটা অংশ। কার্পেটের তলায় আবর্জনা লুকিয়ে রাখার প্রবাদ বাক্যটি এদেশেই জন্মেছে। বহিরাগতদের সামনে আবর্জনা আড়াল করা দক্ষ ম্যানেজার বা গৃহকর্তা/গৃহগিন্নির কর্তব্য। কিন্তু ম্যানেজারের উপরেও ম্যানেজার থাকে, সেই ম্যানেজারকে জানানোর জন্যে কোথায় কী আবর্জনা লুকানো আছে, তার হিসেব নথিবদ্ধ করাটাও ম্যানেজারের দায়িত্ব। তাই হিসেব রাখাটা অবশ্যকর্তব্য। ক্রমশ জনমতের চাপে পড়ে সরকার এইসব বিভিন্ন উপদেষ্টা কমিটির রিপোর্ট আংশিক প্রকাশ করেছে, এবং সে নিয়ে সংবাদপত্রে ঝড় শুরু হয়েছে।  উপদেষ্টা বিজ্ঞানীরাও সরকারের আচরণে ক্ষুব্ধ, কারণ সরকার তাদেরকে শিখণ্ডীর মতো খাড়া করে নিজেদের ভুল ভ্রান্তি ঢাকছে এবং বিজ্ঞানীদের প্রতি মানুষের সন্দেহ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটা একটা সুবিধাবাদী চালাকি।

আসলে অস্বচ্ছতা প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এক চতুর রাজনৈতিক কৌশল। তাকে কখনোই সৎভাবে খোলাখুলি কিছু বলতে দেখা যায় না। ব্রেক্সিটের ব্যাপারে পরিষ্কার কোন চিত্র আজ পর্যন্ত তার কাছ থেকে পাওয়া যায় নি। কীরকম বাণিজ্য চুক্তি হবে, কোথা থেকে বিনিয়োগ আসবে, এ ব্যাপারে কোনরকম পরিকল্পনা বা তথ্য না দেওয়াই হচ্ছে তার রীতি। মুশকিল হচ্ছে ভোটের বাজারে  এসব কৌশল খুব সফল হলেও, প্রশাসনের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে কোভিড মোকাবিলায় অস্বচ্ছতা একটা বিরাট অন্তরায়। এতে জনগণের আনাস্থা এবং অবিশ্বাস দুটোই বাড়ে।


লকডাউনের দুই সপ্তাহের মধ্যে আর একটা চিত্র সামনে এল। দেখা গেল স্বাস্থ্যকর্মীরা যথাযথ ধরনের বা সংখ্যায় পিপিই (PPE) পাচ্ছেন না। গ্লাভস আছে তো, মাস্ক নেই; মাস্ক আছে তো গাউন নেই। অথচ মন্ত্রীরা ঘটা করে বলে দিচ্ছেন,”সব আছে”, “অথবা ১ লক্ষ পিপিই অর্ডার দেওয়া হয়েছে, পাঁচ দিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে“ ইত্যাদি । বাস্তবে তা ঠিকঠাক হচ্ছে না। এর ফলে যা হবার তাই হয়েছে। ২৯শে এপ্রিল অবধি চিকিৎসক সহ ১২৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছেন। টেস্টিং-এর ব্যাপারেও তাই। সরকার ঘটা করে টেস্টিং-এর দৈনিক লক্ষ্য দশ থেকে তিরিশ হাজার এবং তিরিশ হাজার থেকে এক লক্ষে বাড়িয়েছে। কিন্তু বাস্তবে টেস্ট লক্ষ্যমাত্রার সত্তর শতাংশে পৌঁছাতেই হিমসিম খাচ্ছে। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে বরিস জনসনের সরকার মুখে যতই আশ্বাস দিক, প্রস্তুতিতে বিরাট গাফিলতি করেছে। সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করে এটাও বের করেছে সরকারের যোগান দেওয়া গ্লাভস ও মাস্কের একটা বিশাল পরিমাণের ব্যবহার যোগ্যতার তারিখ অনেক আগেই অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছিল। পুরনো তারিখ ঢাকা দিয়ে নতুন তারিখ বসানো হয়েছে। ধরা পড়ে সরকার বলছে, এগুলি পুরাতন ঠিকই, কিন্তু টেস্ট করে দেখা হয়েছিল এগুলি ব্যবহারের উপযুক্ত। মিডিয়া বলছে টেস্টের রিপোর্ট কোথায় ? সরকার নীরব। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। বিরোধীপক্ষ তৈরি হচ্ছে আগামী বছর দেশব্যাপী পৌর নির্বাচনে সরকারের অপদার্থতাকে কাজে লাগাতে।   

প্রস্তুতির অভাব সর্বত্র, এবং এই অপ্রস্তুতি চলছে গত সাত আট বছর ধরে। রাজনৈতিক হিসেব নিকেশ  প্রাধান্য পেয়েছে। তার উপর বিপুল ভোটে জয়লাভ করায় একটা সর্বনাশা ঔদ্ধত্য দেখা যাচ্ছে। কিন্তু অপ্রস্তুত অবস্থায় জীবন মরণের যুদ্ধে যাওয়ার পরিণাম ব্রিটেন একবার দেখেছিল – একশ দু বছর আগে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে, সাত লক্ষ ব্রিটিশ সৈন্যের মৃত্যু হয়। তুলনায় অনেক ভয়াবহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রাণ যায় তিন লক্ষ ব্রিটিশ সেনার।

চেষ্টার গাফিলতি রয়েছে মৃত্যু গণনাতেও। এ পর্যন্ত সরকার মৃত্যুর হিসাব  ঠিকঠাক শুধুমাত্র হাসপাতালে যেসব রোগীরা মারা গেছে তাদের। কেয়ার হোমে মৃত্যুর হিসাব অস্বচ্ছ। একথা আগেই বলেছি। এই পর্যায়ের কোভিড মৃত্যুর সংখ্যা মে মাসের শেষে ৫০,০০০ পৌঁছালে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

মৃত্যুর সংখ্যা কম দেখালে রাজনৈতিক দিক থেকে অনেক ভালো দেখায়। কিন্তু প্রকৃত তথ্যের অভাবে লকডাউন তোলার হিসাব জটিল হয়ে যায়। লকডাউন তুলতে গেলে সংক্রমণ পুনরুৎপাদনের হার (R) ১-এর নীচে নামতে হবে, অর্থাৎ একজন আক্রান্ত মানুষ একের কম মানুষকে রোগ দেবে। ব্রিটেনে এবং সমগ্র ইউরোপে এই হার ৩ বা ৪ থেকে ০.৫ বা ০.৭ এ নেমে এসেছে, খুবই আশার খবর। এর সঙ্গে মৃত্যুর হার এবং বাড়তি সংক্রমণের সংখ্যাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রকৃত তথ্য এবং প্রস্তুতির অভাবে তাই বরিস জনসন বুঝে উঠতে পারছেন না ঠিক কখন লকডাউন হাল্কা করা যাবে। কিন্তু অপ্রস্তুতির খেসারতে কতগুলি বাড়তি মৃত্যু হলো তা সময়ের সাথে বোঝা যাবে।


 *ছবি গুগ্‌ল থেকে সংগৃহীত


3 comments:

  1. বিভাস সাহর প্রবন্ধের সঙ্গে আমার পরিচয় অনেক আগেই হয়েছে। সেগুলির মতো এটাও সময়ের প্রেক্ষিতে যথাযথ।

    ReplyDelete
  2. সাধারণ ভাবে যে আপনি মানুষের যে যন্ত্রনার কথা তুলে ধরেছেন তা অসাধারণ লাগল। রাজেশেদের বোধহয় সব দেশেই একই অবস্থা হয়।

    ReplyDelete
  3. ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানলাম, শিখলাম।

    ReplyDelete

একটি লড়াকু পত্রিকা সম্পাদকমণ্ডলীঃ   অভিজিৎ   ঘোষ ,  অনির্বাণ সরকার ,  এয়োনিয়ান   অনির্বাণ ,  সুমিত পতি ,  মনোহর হোসেন ...